প্রোগ্রেসিভ লেন্স কি? এর সুবিধা, অসুবিধা কি কি?
প্রোগ্রেসিভ লেন্স : সাধারণত কাছের এবং দূরের লক্ষ্য বস্তু একই চশমার মাধ্যমে দেখার জন্য আমরা বাই ফোকাল ইন্ডিকেটিং লাইন সম্বলিত মুন বা ডি সেইপ লেন্স ব্যবহার করে থাকি আর এই বাইফোকাল লেন্সের কিছু ত্রুটি আছে, যেগুলো দূর করার মাধ্যমে এবং এই ইন্ডিকেটিং লাইন মুক্ত আধুনিক ও যুগান্তকারী আবিষ্কার প্রোগ্রেসিভ লেন্স বা ভেরিলাক্স লেন্স।
প্রোগ্রেসিভ বা ভেরিলাক্স লেন্সগুলোতে চোখের পাওয়ার এর জন্য রয়েছে সুশৃংখল ক্রমবিন্যাস অর্থাৎ দূরের, মধ্যবর্তী ও কাছের তিন ধরনের পাওয়ারের সমন্বয়, যার ফলে সব ধরনের দূরত্বে পরিষ্কার ও আরামের সাথে দেখতে আমাদের বেশ সুবিধা হয়, পাশাপাশি স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়।
সুবিধা সমূহ :
০১. Unifocal এবং Bifocal এর জন্য আলাদা আলাদা চশমা ব্যবহার না করে একটি লেন্সের মাধ্যমে সহজ সমাধান পাওয়া যায়।
০২. ডি শেইপ বা মুন শেইপ লেন্স গুলোতে বাইফোকাল লাইন দেয়া থাকে। এ লাইনের উপরে এবং নিচে পাওয়ার পরিবর্তন হয় যা বেশ বিরক্তিকর অনুভূতি দেয়। ভেরিলাক্স লেন্সে এ ধরনের কোন দাগ থাকে না।
০৩. ডি-সেইপ বা মুন-সেইপ এর বাই ফোকাল ইন্ডিকেটর লাইনের কারণে অনেকের চেহারার সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে। এছাড়াও কাছের বস্তু দেখতে সমস্যা সাধারণত চল্লিশ বছর বয়সের পর হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বাইফোকাল লেন্স ব্যবহারে একটু বয়স্ক মনে হয়। তাই অনেকে এটা ব্যবহার করতে চান না। প্রোগ্রেসিভ লেন্সে এ ধরনের কোন সমস্যা থাকে না, বেশ স্মার্ট ও ডিসেন্ট লুক পাওয়া যায়।
অসুবিধা সমূহ :
০১. বাইফোকাল লেন্স গুলোতে ভিশন এরিয়া বেশ বড় হওয়ায় অ্যাডজাস্টমেন্ট সহজেই হয়ে যায় কিন্তু প্রোগ্রেসিভ লেন্সে এটা একটু জটিল। প্রোগ্রেসিভ লেন্সের নির্দিষ্ট এরিয়া দিয়ে কাছের মধ্যবর্তী ও দূরের বস্তু দেখতে হয়। যে কারণে এডজাস্টমেন্টে একটু দেরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এক বা দুই সপ্তাহ লেগে যায়।
০২. প্রোগ্রেসিভ লেন্স ফিটিং বা ডিসপেন্সিং ও একটু জটিল। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ডিস্পেন্সার এ বিষয়ে অভিজ্ঞ না। প্রোগ্রেসিভ লেন্স ডিস্পেন্সিং এর জন্য মুখমন্ডলের আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাপ নেয়া প্রয়োজন হয়। তবে শুধুমাত্র IPD দিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এডজাস্টমেন্ট হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রেমের সেইপ, কার্ভেচার ইত্যাদি পরিমাপ যথার্থভাবে নিতে হয়।
আমাদের কাছে মাঝে মাঝে এ ধরনের কিছু গ্রাহক আসেন, যারা ইতিপূর্বে একাধিক স্থান হতে প্রোগ্রেসিভ লেন্স নিয়েছেন কিন্তু স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের এ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : বিস্তারিত জানার জন্য ESSILOR USA এর ইউটিউব চ্যানেলে ফিটিং এন্ড ডিস্পেন্সিং প্রগ্রেসিভ লেন্স ভিডিও গুলো দেখুন। লিংক :
https://youtube.com/playlist?list=PLUXwfKAWhhINL2TB6-gUusZpq5GX3202-&si=hrdKHSyjD40blxmU
০৩. সিঙ্গেল ভিশন এবং বাইফোকাল লেন্স এর চেয়ে এটা বেশ ব্যয়বহুল।
চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বাজারের সস্তা ৪০০-৫০০ টাকার লোভনীয় অফারের চাইনিজ লেন্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ভালো মানের লেন্স ব্যবহার করুন। আর উপভোগ করতে থাকুন আপনার গতিময় ডিজিটাল লাইফ।
আমাদের কাছে পাবেন ভালোমানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লেন্স। কমদামী কোন লেন্স আমরা সরবরাহ করি না। ESSILOR, ZEISS, CRYZAL, ECVL_PRO অথবা CRYSTAL লেন্সের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিঃ দ্রঃ : কোন লেন্স এককভাবে আপনার দৃষ্টিশক্তির ১০০ ভাগ উন্নয়ন ঘটাতে পারে না। আপনি যদি চোখে গুরুতর কোনো সমস্যা(রোগ) অনুভব করেন তাহলে অতি দ্রুত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।